সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত আমন মৌসুমে ১৬ জেলার ১৬টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনা হয়। পরে এক বৈঠকে জানানো হয়, এবার বোরো মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ৬৪টি জেলার একটি করে উপজেলায় ধান ও ১৬ উপজেলায় মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনা হবে।
কিন্তু বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেই অবস্থান থেকে সরে আসা হয়। অর্থাৎ আগের ১৬টি উপজেলাসহ মোট ২২ উপজেলা ধরা হয়েছে।
উপজেলাগুলো হলো- সাভার, গাজীপুর সদর, নরসিংদী সদর, মানিকগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ সদর, রাজবাড়ী সদর, টাঙ্গাইল সদর, ময়মনসিংহ সদর, জামালপুর সদর, শেরপুর সদর, ভোলা সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর, রংপুর সদর, দিনাজপুর সদর, ঝিনাইদহ সদর, যশোর সদর, হবিগঞ্জ সদর, মৌলভীবাজার সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও বরিশাল সদর।
গত ৭ এপ্রিল বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এবার বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান ও সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল (আতপ ও সিদ্ধ) কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মিলারদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কেনা হবে।
অ্যাপে ধান বিক্রির জন্য কৃষক তথ্য দিয়ে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করবেন। রেজিস্ট্রেশন অনুমোদিত হলে তিনি ধান বিক্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ডেটাবেজে জমা হবে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলা কমিটি আবেদনকারীদের মধ্যে লটারি করবে। লটারির মাধ্যমে যেসব কৃষক নির্বাচিত হবেন তাদের অনলাইনেই বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হবে। কৃষক এসব বিষয়ে মোবাইলে এসএমএস পাবেন।
এছাড়া অপেক্ষমাণ তালিকাও তৈরি করা হবে। নির্বাচিত কোনো কৃষক যদি ধান দিতে না পারেন তবে ওই তালিকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেয়া হবে।